
ঝর্ণার পানি কোন বাধা ছাড়া
তার গতিতে, তার নিয়মে
সৌন্দর্যের মুগ্ধতা ছড়িয়ে
অবিরাম ছুটে চলে।
নদী তার দু-কূল করতে চায় প্রসারিত
নদী কারো বাধা মেনে
একবার জোয়ার – আরেকবার ভাটা নিয়ে আসে না।
নদী তার নিয়মে ছুটে চলে
এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে
তেমনি কষ্টের ঝর্ণাও ছুটে চলে
নিয়ম বাধা না মেনে।
কষ্ট যে একবার পোষণ করতে পারে
সেই হয় প্রকৃত মানুষ।
কষ্টের ঝর্ণা বয়ে চলে
প্রতিটা মানব হৃদয়ে
কারো কষ্ট ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর
কারো কষ্ট বৃহৎ আকারে।
যখন ভরসা করে অন্যের কষ্ট
করে আমার কাছে শেয়ার
তখন আমার কষ্টগুলো
ঝরনার প্রথম সারি সারি ,
পানির মত বিলীন হয়ে যায়।
আমার কষ্ট বলার সময় তখন আর পাইনা
তাই নীরব স্বচ্ছ নদী; আমার ভোর বেলার সাথী।
ও নীরব, তাই সকলের কথা শোনে
নদী এক প্রকার নিরব শ্রোতা
সে জেলে, কুমার, কৃষক
সবার দুঃখ গাথার সাথী হয়।
মাঝে মাঝে ঝরনার মতো
ঝরে পড়তে চায় কষ্ট
তবে সে কষ্ট ঝরে পড়তে দেই
নদীর বিশাল বুকে।